
Digital Eye - Complaint Management System
১. প্রজেক্টের নামের প্রস্তাবনা
· নাম: ডিজিটাল চোখ
· স্লোগানঃ "আপনার চোখই পারে সমাজ বদলাতে"
· বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান: শাহতাঁজ সফট লিমিটেড
· সহযোগী: ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল, UNDP ও Asia Foundation
· অবস্থান: বাংলাদেশ (সারাদেশে প্রয়োগযোগ্য, প্রথমে ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনায় পাইলট)
সময়কাল: ১ বছর (৬ মাস পাইলট + ৬ মাস পূর্ণ বাস্তবায়ন)
২. প্রকল্প পরিচিতি:
বাংলাদেশের নাগরিকরা প্রতিদিন নানান ধরনের অনিয়ম, দুর্নীতি ও অপরাধ প্রত্যক্ষ করলেও তা রিপোর্ট করার কোনো নিরাপদ, দ্রুত এবং কার্যকর পদ্ধতি তাদের হাতে নেই। " ডিজিটাল চোখ" একটি মোবাইল অ্যাপ ভিত্তিক এবং ওয়েব প্ল্যাটফর্ম, যার মাধ্যমে যে কেউ সহজে লেখা, ছবি, ভিডিও, অডিও প্রমাণসহ তথ্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে বা ৯৯৯-এ পাঠাতে পারবেন। এতে নাগরিকদের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত হবে, সমাজে সুশাসন ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা সহজতর হবে।
৩. প্রকল্প বাস্তবায়নকারী:
শাহতাঁজ সফট লিমিটেড: দীর্ঘ দুই দশকের প্রযুক্তিনির্ভর সমাধানে অভিজ্ঞ
দীর্ঘ ২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে শাহতাঁজ সফট লিমিটেড তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে ব্যবসা, প্রতিরক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে কাজ করে আসছে। প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশ বিমান বাহিনির রিক্রুটমেন্ট প্রজেক্ট ও ই-নোট সিস্টেম সফলভাবে বাস্তবায়ন করেছে। করোনা মহামারিতে বিমান বাহিনির ১৬টি চার্টার্ড ফ্লাইটের টিকিটিং ব্যবস্থাপনা পরিচালনা করেন। আন্তর্জাতিকভাবে, শাহতাঁজ সফট লিমিটেড আমেরিকার ডাক্তারদের তথ্য তালিকা তৈরিতেও ভূমিকা রেখেছে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি বিডিচ্যাট নামক একটি কমিউনিকেশন ও মানি ট্রান্সফার ভিত্তিক রেমিটেন্স সফটওয়্যার ও মোবাইল অ্যাপ নিয়ে কাজ করছে, যা বিশ্বব্যাপী প্রবাসীদের জন্য নতুন সম্ভাবনা উন্মোচন করবে।
৪. মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য:
- সাধারণ নাগরিকদের নিরাপদ ও সহজ রিপোর্টিং প্ল্যাটফর্ম
- রিপোর্টে লেখা, ছবি, ভিডিও ও অডিওসহ তথ্য যোগ করার সুযোগ
- গোপনীয়তা রক্ষা করে তথ্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ
- নাগরিকদের সুশাসনে সম্পৃক্ত করা
৫. মূল ফিচারসমূহ:
- মোবাইল
অ্যাপ (Android ও iOS)
- ছবি, ভিডিও, অডিও রিপোর্টিং
- GPS লোকেশন ট্র্যাকিং
- পরিচয় গোপন রাখার অপশন
- রিয়েল-টাইম রিপোর্ট ট্র্যাকিং
- ওয়েবভিত্তিক
ড্যাশবোর্ড
- রিপোর্ট ম্যানেজমেন্ট
- যাচাই-বাছাই ও তদন্ত মন্তব্য
- পরিসংখ্যান ও অ্যানালিটিক্স
- এনক্রিপশন
ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা
- End-to-end encryption
- Firebase Authentication
ইন্টিগ্রেশন:
- ৯৯৯ ও পুলিশের বিদ্যমান সিস্টেমের সাথে API সংযোগ
- WhatsApp বা Messenger-এর মত সহজ বিকল্প সাবমিশন অপশন
৬. নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা
- ব্যবহারকারীর পরিচয় এনক্রিপশন
- রিপোর্টারে সম্মতি ছাড়া তার নাম প্রকাশ হবে না
- সার্ভারে রিপোর্ট সুরক্ষিত রাখতে SSL ও Firebase/Auth ব্যবহার করা যেতে পারে
৭. প্রযুক্তিগত স্ট্যাক
মোবাইল অ্যাপ:
- Flutter (Android+iOS)
- Firebase (Authentication + Database)
- Cloud Storage (ভিডিও/ছবি)
- End-to-end encryption (Privacy)
ব্যাকএন্ড:
- Python (Django)
- PostgreSQL / Firebase
- REST API/GraphQL
ওয়েব ড্যাশবোর্ড:
- React.js / Vue.js (ডাইনামিক UI)
- AdminLTE / Material Dashboard
৮. বাস্তবায়নের ধাপ
- রিসার্চ ও প্ল্যানিং (১ মাস)
- ডিজাইন ও UI Mockup (১৫ দিন)
- অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট (২ মাস)
- API ও সার্ভার ডেভেলপমেন্ট (১ মাস)
- ওয়েব পোর্টাল তৈরি (১ মাস)
- পাইলট টেস্টিং – ঢাকা শহরে (১ মাস)
- পর্যালোচনা ও স্কেল আপ পরিকল্পনা (১৫ দিন)
✅ ৬. সহযোগিতার জন্য যাদের সঙ্গে যুক্ত হওয়া উচিত
- ICT Division
- দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)
- বাংলাদেশ পুলিশ ও ৯৯৯ কল সেন্টার
- জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা
- স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন/ইউনিয়ন পরিষদ)
✅ ৭. আর্থিক ও আইনগত দিক
- Data Privacy Law অনুসরণ নিশ্চিত করতে হবে
- প্রাথমিক পর্যায়ে সরকারের সহযোগিতা না থাকলে NGO বা আন্তর্জাতিক ডোনারদের সাথে আলোচনা করা যায় (যেমন: UNDP, Transparency International)
- অ্যাপ ও সার্ভার খরচের বাজেট তৈরি করতে হবে
✅ ৮. সচেতনতা ও প্রচারণা
- অ্যাপ লঞ্চের পর ‘জনগণই তদারকি’ জাতীয় স্লোগানে প্রচার
- সামাজিক মাধ্যমে (Facebook, YouTube, Instagram) প্রচারণা
- শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ইউনিয়ন পর্যায়ে সচেতনতা ওয়ার্কশপ
প্রযুক্তি ব্যবহারে উদ্ভাবন:
- AI-ভিত্তিক ছবি/ভিডিও যাচাই
- এনক্রিপ্টেড কমিউনিকেশন
- ব্লকচেইন-ভিত্তিক রিপোর্ট লগ (ঐচ্ছিক)
৭. বাজেট সংক্ষিপ্তসার:
ক্র |
খাত |
আনুমানিক খরচ (BDT) |
১ |
অ্যাপ ও সার্ভার ডেভেলপমেন্ট |
১৫,০০,০০০ |
২ |
সচেতনতা কার্যক্রম |
৮,০০,০০০ |
৩ |
মানবসম্পদ (ডেভেলপার + তদন্তকারীরা) |
১২,০০,০০০ |
৪ |
ইন্টারনেট ও সার্ভার ব্যয় |
৫,০০,০০০ |
৫ |
রিপোর্ট যাচাই ও সিকিউরিটি টুল |
৩,০০,০০০ |
৬ |
মোট বাজেট |
৪৩,০০,০০০ টাকা |
৮. প্রত্যাশিত প্রভাব:
- নাগরিকদের সচেতনতা বৃদ্ধি
- দুর্নীতি ও অপরাধের রিপোর্ট সংখ্যা বৃদ্ধি
- আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কার্যকারিতা বৃদ্ধি
- প্রযুক্তিনির্ভর গণতান্ত্রিক জবাবদিহিতা গড়ে তোলা
৯. ফান্ডিং ও সহযোগিতা:
প্রকল্প পরিকল্পনায় আপনার প্রতিষ্ঠান অংশ নিতে চাইলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন। "জনতার চোখ"– নাগরিকদের প্রযুক্তিগত ক্ষমতায়নের একটি নতুন দিগন্ত।